প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসছে ৩০ লাখ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগী

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসছে ৩০ লাখ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগী

ডয়াবেটিস
‘বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা - সংগৃহীত

আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সর্বস্তরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা প্রোটোকলের ব্যবহার নিশ্চিত করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

রোববার (১১ জুন) রাজধানীর সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে ‘বাংলাদেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা কার্যক্রম সম্প্রসারণ’ বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।

এতে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল (রিজভী)। প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশে মোট মৃত্যুর ৭০ ভাগই অসংক্রামক রোগের কারণে হয়ে থাকে, যার প্রায় অর্ধেকই অকালমৃত্যু। অসংক্রামক রোগের মধ্যে হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসজনিত ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বিধায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় এর চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করা জরুরী।

তারা আরো বলেন, গ্রামীন সরকারি প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি শহরের চিকিৎসা খাতে এবং বেসরকারী সেবার ক্ষেত্রেও উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রোটোকলের ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এসকল সমন্বিত উদ্যোগ অসংক্রামক রোগজনিত অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারবে বলেও বিশেষজ্ঞরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে বাংলাদেশের ১৮২টি উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের রোগীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।

সভায় উপস্থিত সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে গুরুত্বসহ বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ উচ্চ রক্তচাপ-ডায়াবেটিসের রোগীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আনার লক্ষ্য পূরণে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতার অঙ্গীকার করেন।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এএইচএম

এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রাশেদা সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন, অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. চেরিয়ান ভারগেজ ও ডা. সাধনা ভগওয়াত প্রমুখ।