মা-শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

মা-শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশনের ৫৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা - সংগৃহীত

দেশের প্রত্যেক মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২৯ এপ্রিল শুরু হওয়া জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশনের ৫৭তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। অধিবেশনটি শেষ হবে আগামীকাল ৩ মে।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে পাঁচ হাজার ৫০০টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করেছি। সার্বক্ষণিক পরিষেবা দিতে প্রতিটি কেন্দ্রে চারজন করে ধাত্রী নিয়োগের পরিকল্পনা করছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে ২০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সম্মেলনের লক্ষ্য পূরণ এবং এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে দেশব্যাপী সব মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা এবং কৈশোর স্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া নানা পদক্ষেপ ও কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্যবিষয়ক কৌশলপত্র (২০১৭-২০৩০) এবং এর বাস্তবায়নে গৃহীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার বিষয়টি উল্লেখ করেন।

ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমরা বাল্যবিবাহ এবং নারী ও কন্যাশিশুদের বিরুদ্ধে সংহিসতারোধে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ লাখ কিশোরীকে সরকার বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী মাতৃমৃত্যু ও জন্মহার হ্রাস, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা ও পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোসহ স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতার ঘাটতি মেটাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান।

মূল অধিবেশনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের মাতৃমৃত্যুবিষয়ক সিগনেচার সাইড ইভেন্টে অংশ নেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। সেখানে তিনি দেশের প্রতিটি প্রান্তে পর্যাপ্ত ও প্রশিক্ষিত ধাত্রী নিয়োগের মাধ্যমে মাতৃমৃত্যু হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্য বর্ণনা করেন। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউএনএফপিএ এবং পিপিডি আয়োজিত আইসিপিডি কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরও একটি সাইড ইভেন্টে অংশ নেন।

এসব আয়োজনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের ভাইস মিনিস্টার ফর ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন; ও ইউএনএফপিএর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং নেদারল্যান্ডসের ভাইস মিনিস্টার কর্তৃক আয়োজিত আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন।