সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-নানীসহ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত

সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-নানীসহ মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত

সড়ক দুর্ঘটনা
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও নানীসহ এক মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন (লাশের পাশে স্বজনদের কান্না) - সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও নানীসহ এক মেডিকেল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। নিহত মেডিকেল শিক্ষার্থী জহির রায়হান রাজধানী ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শনিবার (৪ মে) সকাল পৌনে ১০টায় ডক্টর টিভিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিহত মেডিকেল শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামের কাজিন ইয়াসিন আরাফাত।  

তিনি জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন, তার ছোট ছেলে ও মেডিকেল শিক্ষার্থী জহির রায়হান, তার নানী রাহেলা বেগম। আহতদের মধ্যে মেডিকেল শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামের বড় ভাই নজরুল ইসলামকে হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রাইভেট কার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজনও আহত হয়েছেন। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বজন রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন। 

পথে রাত দেড়টার দিকে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিলে দিলে তা রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময়ে আলমগীর হোসেনসহ ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনজন। চালকসহ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আমাদের হাসপাতালে ৫ জন রোগী নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করি। আহত নজরুল ও সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মরদেহগুলো বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। ঘাতক কাভার্ডভ্যানটিকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।


আরও দেখুন: