রিমান্ড শেষে কারাগারে ডা. রায়হান শরীফ

রিমান্ড শেষে কারাগারে ডা. রায়হান শরীফ

মেডিকেল শিক্ষক
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ - সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

১৫ মার্চ, শুক্রবার দুপুরের পর রিমান্ড শেষে ডিবি পুলিশ তাকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন জানান, ডা. রায়হান শরীফের বাড়ী থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

তিনি বলেন, ৫ দিনের রিমান্ডে অস্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে ডা. রায়হান শরীফ। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

এর আগে গত ১১ মার্চ অস্ত্র মামলায় শিক্ষক রায়হান শরীফকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) ইব্রাহিম। শুনানি শেষে বিচারক ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আজ (শুক্রবার) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ৪ মার্চ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফ শ্রেণিকক্ষের ভেতরে তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। এরপর রায়হান শরীফকে শ্রেণিকক্ষে আটকে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।

ওই সময় পড়ে থাকা পিস্তল ও একটি ব্যাগ জব্দ করে পুলিশ। ব্যাগটির ভেতর থেকে আরও একটি পিস্তল, ৮১টি গুলি, চারটি ম্যাগাজিন, দুটি বিদেশি কাতানা (ছোরা) ও ১০টি অত্যাধুনিক বর্মিজ চাকু জব্দ করা হয়।

এসব অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগে ডিবি পুলিশ বাদী হয়ে রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ ছাড়া গুলিতে আহত শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে তাঁর ছেলেকে হত্যাচেষ্টা অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা করেন।

ঘটনার পর পুরো ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে বরখাস্ত, মেডিকেল সনদ বাতিল ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে আন্দোলনে নামে। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরেন।


আরও দেখুন: