কৃমির ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও করণীয়

কৃমির ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও করণীয়

শিশু
যাদের পেটে কৃমি বেশি, ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে - ফাইল ছবি

আজ থেকে সারা দেশে একযোগে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৪ কোটি শিশুকে এ ওষুধ বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে।

যাদের পেটে কৃমি বেশি, ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া পেট ও মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো বড় ধরনের কোনো সমস্যা নয়। এসব উপসর্গ দীর্ঘ সময় থাকে না।

একই সাথে খালি পেটে কৃমিনাশক ওষুধ না খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকা, পিটি বা প্যারেড না করার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

কৃমি মানুষের পেটে পরজীবী হিসেবে বাস করে এবং খাবারের পুষ্টি খেয়ে ফেলে। যার কারণে শিশুরাই বেশিরভাগ পুষ্টিহীনতায় ভোগে।

কৃমি মানুষের অন্ত্র থেকে রক্ত শোষণ করে। ফলে শিশুরা রক্তশূন্যতায় ভোগে। বদহজম, ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে। এমনকি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধির ব্যাঘাত ঘটায়। কৃমির অতিশয় সংক্রমণ মৃত্যুর কারণও হতে পারে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কৃমি নির্মূলের লক্ষ্যে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের এক ডোজ কৃমিনাশক ওষুধ বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে কৃমির পুনঃসংক্রমণ রোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা দেওয়ার ফলে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। শিশুর ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিচর্যার ব্যাপারে সচেতন হবে; যা থেকে ভবিষ্যতে শিশুরা কৃমিসহ অন্যান্য পরজীবীবাহিত রোগব্যাধি থেকেও পরিত্রাণ পাবে।



ইভেন্ট স্ট্রিম : শিশু স্বাস্থ্য নিয়ে লেখাসমূহ