সীসা দূষণে প্রতিবছর ১ লাখ ৩৮ হাজার বাংলাদেশীর মৃত্যু

সীসা দূষণে প্রতিবছর ১ লাখ ৩৮ হাজার বাংলাদেশীর মৃত্যু

সিসা
বাংলাদেশে শিশুদের রক্তে উচ্চমাত্রায় সীসার উপস্থিতি তাদের মেধার পূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক। - ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রতিবছর সীসা দূষণের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। একই কারণে শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে, যার ফলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হবার ঝুঁকি বাড়ছে।

চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্যা ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে’ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

‘গ্লোবাল হেলথ বার্ডেন অ্যান্ড কস্ট অব লেড এক্সপোজার ইন চিলড্রেন অ্যান্ড অ্যাডাল্টস: অ্যা হেলথ ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড ইকোনমিক মডেলিং অ্যানালাইসিস’ নামের এ গবেষণাটি করেছেন বিশ্বব্যাংকের একদল গবেষক।

সীসা দূষণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদের অবস্থান চতুর্থ। এর ফলে প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে হৃদরোগে আক্রান্তের হার বাড়ার পাশাপাশি শিশুদের আইকিউও কমে যাচ্ছে। আর্থিক ক্ষতির হিসেবে এর পরিমাণ প্রায় ২৮ হাজার ৬৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সীসা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে শিশুদের। মাত্রার চেয়ে বেশি সীসা শিশুদের শরীরের বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে। ২০১৯ সালের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন যে, সীসা দূষণের ফলে দেশটিতে শূন্য থেকে চার বছর বয়সী বাচ্চারা প্রায় দুই কোটি আইকিউ পয়েন্টস হারাচ্ছে। এতে তাদের বুদ্ধির যথাযথ বিকাশ হচ্ছে না। ফলে নতুন কিছু শেখার ক্ষেত্রে তাদের যেমন সমস্যা হচ্ছে, তেমনি খাবারে অরুচি, ওজন কমে যাওয়া, খিটখিটে মেজাজসহ আচার-ব্যবহারে দেখা যাচ্ছে নানা অসংগতি।

এ প্রসঙ্গে ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. প্রিসিলা ওবিল বলেন, বাংলাদেশে শিশুদের রক্তে উচ্চমাত্রায় সীসার উপস্থিতি তাদের মেধার পূর্ণ বিকাশের ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধক।