'চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ খেয়ে কিডনির ক্ষতি করছেন'

'চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ খেয়ে কিডনির ক্ষতি করছেন'

কিডনি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। - ছবি: সংগৃহীত

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ খাওয়ায় কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।

 

তিনি বলেন, অধিকাংশ মানুষই ব্যথাকে গুরুত্ব দেন না। নিজে নিজে ওষুধ কিনে এনে খেয়ে ফেলেন, এমনকি অনেকে চিকিৎসা করাতে চান না। যার ফলে আশঙ্কাজনক হারে পঙ্গুত্বও বেড়ে চলেছে।

 

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সচেতনতা দিবস উপলক্ষ্যে বিএসএমএমইউয়ের রিউমাটোলোজি বিভাগ আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভা শেষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

শারফুদ্দিন আহমেদ আরো বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ১৭ হাজার রোগী কিডনির ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন এবং প্রায় তিন হাজার রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়। যখনই কোনো মানুষের শরীরে ব্যথা অনুভব করবেন, তখনই রিউমাটোলোজি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সেখানকার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।

 

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রিউমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সহেযাগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলোজি) ডা. মো. রাসেল, রিউমাটোলোজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সহকারী  অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আব্দাল, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী প্রমুখ।