যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি চিকিৎসকের অনন্য কীর্তি

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি চিকিৎসকের অনন্য কীর্তি

চিকিৎসক
যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ডা. হামীম ইবনে কাওছার - ছবি: সংগৃহীত

এ যেন শূন্য থেকে মহাশূন্যে। শূন্য দুটি কক্ষ থেকে মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাব। এ সফলতার পর আসে ১৩০ বছরের পুরনো হাসপাতালে ইন্টারন্যাল মেডিসিন রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম চালুর দায়িত্ব। সেটাও পালন করেছেন রীতিমতো সবাইকে অবাক করে দিয়ে।

এই সফলতার গল্প নিজের ফেসবুকে বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা ডা. হামীম ইবনে কাওছার। এই হেমাটোলজিস্ট অ্যান্ড মেডিকেল অনকোলজিস্টের একাডেমিক অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে এমডি, পিএইচডি, এফএসিপি ডিগ্রি।

ডা. হামীম ইবনে কাওছারের স্ট্যাটাসটি পাঠকের জন্য তুলে দেওয়া হলো-

আমার শিক্ষা এবং কর্মজীবনে অনেক কিছুই আমি শূন্য থেকে শুরু করেছি। ডক্টরেট ডিগ্রির পর আমাকে দুটি শূন্য কক্ষ আর চাবি দিয়ে ২০০৫ সালে ক্লীভল্যান্ডে বলা হলো, এই তোমাদের ল্যাব। শূন্যকক্ষ থেকে পরিপূর্ণ মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাব গড়ে তুলেছিলাম কয়েক মাসে। সেই ল্যাবের এখন প্রায় ত্রিশ কোটি টাকার রিসার্চ গ্রান্ট!

এ বছর জানুয়ারি মাসে আমার ফেলোশিপ চলাকালীন আমাকে ১৩০ বছর বয়সী হাসপাতালে ইন্টারন্যাল মেডিসিন রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম চালু করতে বলা হয়। শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। আমি থাকি ক্যানসাস, রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম মেরিল্যান্ডে। ভিডিও মিটিং করে করে সারারাত জেগে কাজ করেছি রিমোটলি। ত্রিশ জন চৌকস রেসিডেন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু হবে এই হাসপাতালের প্রথম রেসিডেন্সি প্রোগ্রামের!

আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করে আবেদন করেছি। এসিজিএমই সাইট ভিজিট করেছে এপ্রিলে। গত সপ্তাহে তাদের ফাইনাল রিভিউ মিটিং হয়েছে। আজ তারা আমাদের এই নতুন প্রোগ্রামকে অ্যাক্রেডিটেশন দিয়েছে! এটি একটি ইতিহাস, আলহামদুলিল্লাহ! আমি সেই ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলাম প্রতিষ্ঠাতা ডিরেক্টর হিসেবে!

ইনশা আল্লাহ, আমরা ১৫০ জন যোগ্য প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেব এ বছর। সেখান থেকে বাছাই করে নেওয়া হবে সেরা দশজনকে! দ্য হিস্টরিক্যাল জার্নি বিগিন্স টুডে!



আরো সংবাদ: প্রবাসী স্বাস্থ্য