একজিমা কী ধরনের অসুখ?

একজিমা কী ধরনের অসুখ?

স্কিন একজিমা বা এলার্জিজনিত সমস্যা ও চিকিৎসা নিয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা  করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর সাবেক প্রোভিসি ও বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক  ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার। সম্প্রতি ডক্টর টিভির স্বাস্থ্য সমাধান অনুষ্ঠানে তিনি এসব পরামর্শ দেন।  অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. হুমায়রা বুশরা হোসেন

ডক্টর টিভি: একজিমা কী? এটা কী ধরনের অসুখ?

অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার: একজিমা একটি প্রাচীন চর্মরোগ, সবাই দীর্ঘদিন থেকেই এই রোগের সাথে পরিচিত।প্রাচীনকালের চিকিৎসকরা একেক সময় রোগের একেক নাম দিতো।

তবে ‘একজিমা শব্দটি আধুনিক শব্দ। এটি এক ধরনের প্রদাহ জনিত চর্মরোগ।শরীরে চামড়ার ওপর থেকে পানি জাতীয় রস জাতীয় কিছু নিঃসৃত হয়ে যাওয়াকে একজিমা বলে।

এটি সহজ কোনো রোগ নয়। এর বিস্তৃতি আরো অনেক বেশি।অনেক সময় চামড়ার উপর থেকে রস বা পানি জাতীয় কিছু নিঃসৃত হতে দেখা যায় না অর্থাৎ উপসর্গ অন্যরকম দেখা যায় যেমন চুলকানি হতে পারে,ফুসকুড়ি বা আলসারের মতো দেখা দিতে পারে। চামড়া শুষ্ক হতে পারে, অথবা কোনো কিছুই দৃশ্যমান নয় শুধু চামড়ার উপরে চুলকানি হতে পারে বিশাল একটা জায়গা জুড়ে লালচে বর্ণ ধারণ করে  কিন্তু সেটিও একজিমা। অনেকের ভালো হয়ে যায় আবার আক্রান্ত স্থানে পানি লেগে আবার হতে পারে এভাবে চলতে থাকে।

একজিমাকে বড় আকারে ভাগ করলে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

একটা "ইনটেনসিভ " আরেকটা "এক্সটেন্সিভ" একজিমা। একটা শরীরের ভিতর থেকে কাজ করে আরেকটা শরীরে বাইরে থেকে হতে পারে।

এই দুই প্রকার একজিমা আবার অনেক রকম হয়ে থাকে। যেমন বাচ্চাদের হয়,যেটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক মানুষের বয়সের সাথে সাথে চলে গেলেও অনেকের এটি থেকে যায় সেটি হলো এটোপিক একজিমা।

এটি সারা পৃথিবী জুড়ে দেখা যায় তাই এই একজিমাটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।ইউরোপ আমেরিকা,ককেশিয়ানদের হয়। মঙ্গোলিয়ানদের হয় সাদা মানুষ, কালো মানুষ বিভিন্ন দেশের মানুষের হয় বিভিন্ন পরিবেশের মানুষের হয়। তবে জন্মগতভাবে অর্থাৎ জেনেটিক্যাল কারণেও অনেকের হয়। সুতরাং এই একজিমাটি সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুদের একজিমা

ডক্টর টিভি: বাচ্চাদের এই একজিমা বা এটোপিক ডার্মাটাইটিস হয়ে থাকে,আসলে এটি কাদের বেশি হয় বা কোন বয়সের মানুষের বেশি হচ্ছে?

আমি আগেই বলেছি এটি কিছুটা জেনেটিকালি ইনফ্লুয়েন্স থাকে,বাবা-মায়ের কাছ থেকে বংশগত কারণে ছেলেমেয়েরা পেয়ে থাকে।

যেহেতু আপনার মায়ের এলার্জি আছে সেক্ষেত্রে আপনার খাওয়া-দাওয়া,পোশাক,কসমেটিক্স বিছানাপত্র যা ব্যবহার করেন তার সাথে। সেখানে যদি এই বিষয়গুলো দায়ী হয় তবে তার থেকে একটু দূরে থাকতে হবে।

আপনি এলাট্রল খাচ্ছেন। এর পরিবর্তে যদি ফেক্সো এবং আরেকটি ওষুধ কম্বিনেশন করে খেতে পারেন,মন্টিন জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন, ফেক্সো এবং মন্টিলুকাস এই দুইয়ের কম্বিনেশনে একটা ভালো ফল পাবেন আশা করি।

আর মিসক্যারেজ নিয়েও কিছু কথা বলা জরুরি। আপনার মিসক্যারেজের কারণ এবং পরবর্তীতে ঠিকমতো ওষুধ এবং সব মিলিয়ে ম্যানেজমেন্ট হয়েছে কিনা এটা অবশ্যই গাইনোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করে নেবেন। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে এটা কোনোভাবেই এলার্জির কারণ হবে না।তবে মিসক্যারেজ ম্যানেজমেন্টের জন্য যদি অন্য কোনো ওষুধ খান যা এলার্জিক রিএকশন হতে পারে বা কোনো কিছু খেয়ে থাকেন  সেটিও এলার্জির কারণ হতে পারে সেটিও খেয়াল রেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।