বিশেষজ্ঞ ভাবনা

ওজিএসবির মূল লক্ষ্য মাতৃমৃত্যুর হার কমানো

বিশেষজ্ঞ ভাবনা

ওজিএসবির মূল লক্ষ্য মাতৃমৃত্যুর হার কমানো

ডক্টর টিভি

বাংলাদেশের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের চিকিৎসকদের প্রতিষ্ঠান ‘অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলিজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’। সংক্ষেপে ‘ওজিএসবি’। এই ’ওজিএসবি’ দেশের নারীদের স্বাস্থ্যগত উন্নয়নের জন্য (স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি) কাজ করে আসছে।

ওজিএসবির কার্যবিধি নিয়ে ’সুস্বাস্থ্যে রেনাটা’ অনুষ্ঠানে “নারী স্বাস্থ্যে ওজিএসবি” বিষয়ে ডক্টার টিভির সাথে কথা বলছেন ইনফার্টিলিটি কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার লিমিটেডের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের চিফ কনসালট্যান্ট ও ওজিএসবির ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম, আনোয়ার খান মর্ডাণ মেডিকেল কলেজের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ও ওজিএসবির জয়েন্ট সেক্রেটারী অধ্যাপক ডা. সেহেরীন ফরহাদ সিদ্দিকা, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের প্রধান ও ওজিএসবির সায়েন্টিফিক সেক্রেটারী অধ্যাপক ডা. এসকে জিন্নাত আরা নাসরিন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ওজিএসবির এন্টারটেইনমেন্ট সেক্রেটারী ডা. বেগম নাসরিন। সঞ্চালক: ডা. তানিয়া রহমান মিতুল।

ডক্টর টিভি: ওজিএসবি কী?

অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম: ওজিএসবি একটি সংগঠন। এই সংগঠনটি আমাদের দেশের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের চিকিৎসকদের। এটির পুরো নাম ‘অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলিজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’। সংক্ষেপে ‘ওজিএসবি’।

আমরা জানি যেকোন কাজ করার জন্য উপযুক্ত মাধ্যম দরকার হয়, ওজিএসবি স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের একটি মাধ্যম। যদিও চিকিৎসকরা কাজ করে যার যার ক্ষেত্রে। এই যেসমস্ত ডাক্তাররা তৈরি হয়, তাদের কাজের পরিধি, তাদের শুযোগ-শুবিধা কি? তাদের দেখা-শুনা করা এসব গুলা ওজিএসবি করে থাকে।

ওজিএসবির জন্ম ১৯৭২ সালে। তখন থেকে নারীদের স্বাস্থ্যগত উন্নয়নের জন্য (স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি) কাজ করে আসছে। এখানে ওজিএসবি সরকারি বিভিন্ন প্রজেক্টের সাথে কাজ করে আসছে। আজ ওজিএসবির ২২৫০ জন সদস্য, সারা দেশে ১৬ শাখা আছে। আমরা সবাই এর ওপর দাড়িয়ে একাত্ম হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আমাদের বড় একটা অসন্তোষ আছে, যে গ্রামে-গঞ্জে আমাদের সবাই ভালোভাবে কাজ করতে পারছে না। যেমন: উপজেলাতে কাজ করতে হলে, টিমওয়ার্ক দরকার সেটা নেই।

ডক্টর টিভি: ওজিএসবি কী লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে?

অধ্যাপক ডা. সেহেরীন ফরহাদ সিদ্দিকা: ওজিএসবি একটা মাধ্যম যেখানে আমরা সবাই দাড়িয়ে আছি এবং আমরা সবাই নারী স্বাস্থ্য কর্মী হিসাবে কাজ করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল নারী স্বাস্থ্য সেবা এবং আমাদের মুল লক্ষ্য হল মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে নিয়ে আসা।

ডক্টর টিভি: ওজিএসবির হাসপাতালটি কিভাবে নারী স্বাস্থ্যের সেবা দিয়ে আসছে?

অধ্যাপক ডা. এসকে জিন্নাত আরা নাসরিন: ওজিএসবির কাজের পরিধি কত ব্যাপ্তি সেটা বুঝতে হলে আমাদের ওজিএসবির হাসপাতালের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের বিগত সকল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বিগত সকল সদস্যসহ বর্তমানে ২২৫০ সদস্যদের সকলের সকলের হাত ধরে ওই ছোট হাসপাতালটি আজ এতো বড় হয়েছে। আমাদের দুটি শাখা আছে। একটি পুরাতন শাখা আর একটি নতুন শাখা। মিরপুরের ওই শাখার আসে পাশের সকল গরিব বা সাধারণ মানুষ তারা সবাই সেবা পেয়েছে। এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানসহ আমাদের প্রানের প্রতিষ্ঠান। আমাদের সভাপতিরা, সাধারণ সম্পাদকেরা, সকল সদস্যরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। এটাকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্ন পুরোনের জন্য দ্রুত পায়ে এগুয়ে যাচ্ছি।

  • আমাদের এখানে ক্যান্সার সেন্টার হয়েছে।
  • আমরা এটির মাধ্যমে ডক্টরদের প্রশিক্ষণও দিয়ে যাচ্ছি।

এখানে আমরা শুধু সেবা দিয়ে যাচ্ছি তা নয়, এর পাশাপাশি আমাদের গবেষণা এবং শিক্ষাগ্রহণ চলছে। সব থেকে বড় বিষয় হলো সরকার নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য ওজিএসবিকে নিয়ে চিন্তা করছে। এখানে ওজিএসবির পরামর্শ নিয়ে এক সাথে কাজ করছে সরকার। আমাদের পরিকল্পনায় আছে ওজিএসবির হসপিটালটি সামনে আরও বিশালাকার ধারণ করবে। আমাদের বাংলাদেশের সবথেকে সুন্দর একটি হসপিটাল হবে।

ডক্টর টিভি: ওজিএসবির কি কি ধরনের কাজ করে থাকে?

অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরিন: ওজিএসবির কাজটা দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটা হলো নারী স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং মাতৃমৃত্যু কমানো। আর দ্বিতীয়টা হলো ওজিএসবির যারা সদস্য আছে তাদের শুবিধা অশুবিধা গুলো দেখভাল করা।

ডক্টর টিভি: বন্ধাত্বের চিকিৎসা আরও অগ্রগতির জন্য ওজিএসবি কি ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে?

অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম: বর্তমানে দেখা যায়, মেয়েদের ডিম্বাণুর পরিমাণ কমে যাচ্ছে। আর ছেলেদের ছেলেদের স্পার্মের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এটির জন্য পরিবেশ দূষণ একটি গ্রুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। এইসব রোগীদের দেখার জন্য অভিজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন। এখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে ওজিএসবি কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যারা জানি তারা অন্যদের জানানোর মাধ্যমে এ কাজটি করে যাচ্ছি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। এখানে রাষ্ট্রীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।