চোখের রেটিনার দশটি লেয়ার আবিস্কার করেন যে বিজ্ঞানী

চোখের রেটিনার দশটি লেয়ার আবিস্কার করেন যে বিজ্ঞানী

আবিস্কার
চোখের দশটি লেয়ার বা স্তর আছে এটা সর্ব প্রথম আবিষ্কার করে বিজ্ঞানী জাকারিয়া আল রাজী (ইনসেটে ডা. সাঈদ এনাম) - ফাইল ছবি

আমাদের চোখের রেটিনার দশ'টি লেয়ার আছে। ইলেকট্রনিক মাইক্রোস্কোপ দিয়ে কেবল সেটা চমৎকার বুঝা যায়। চোখের দশটি লেয়ার বা স্তর আছে এটা সর্ব প্রথম আবিষ্কার করে বিজ্ঞানী জাকারিয়া আল রাজী (৮৬৫-৯২৫)। সেটা প্রায় আজ থেকে এক হাজার বছর আগে। যা রিতীমত অবিশ্বাস্য বিষয়।

ইন্টারেস্টিং হলো আল রাজী কেবল মেডিসিন নয়। রসায়ন, পদার্থ, গনিত, ধর্ম, ভুগোল, ফিলোসোফি সহ নানান বিষয়ে তার পান্ডিত্য ছিলো। তিনি ছিলেন সে সময়ে সেরাদের সেরা।

মেডিসিনের উপর প্রায় আড়াই শতাধিক টেক্সট বুক তিনি লিখেছেন। তার বই শত শত বছর ইউরোপের আমেরিকার মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। সারা বিশ্ব থেকে ছাত্ররা তার কাছে বিদ্যার্জনের জন্যে যেতেন। তিনি সবার প্রিয় শিক্ষক ছিলেন।

আল রাজীই প্রথম স্মলপক্স ও মিসেলস সম্পর্কে অতীতের সকল ভ্রান্ত ধারণা ও মতবাদ মিথ্যে প্রমান করেন।।

জগৎবিখ্যাত এই বিজ্ঞানী, দার্শনিক শেষ বয়সে চোখের রোগ গ্লোকোমায় আক্রান্ত হয়ে অন্ধ হয়ে যান। তার চোখের চিকিৎসায় তৎকালীন সময়ে সারা বিশ্ব থেকে বিখ্যাত সব চিকিৎসক আসলে তিনি তাদের কাছে চোখের চিকিৎসা নেবার পূর্বে সবিনয়ে জিগ্যেস করতেন, "বলুনতো, রেটিনার লেয়ার বা স্থর কয়টি"।

চোখের রেটিনার লেয়ার দশটি এটা কেবল তখন আল রাজীই আবিষ্কার করেন ও জানতেন। ফলে সে প্রশ্নের উত্তর দেয়া আর কারো পক্ষে দেয়া সম্ভব হতোনা।

তাই তিনি হতাশ হয়ে বলতেন, "আপনি রেটিনার লেয়ার কয়টি বলতে পারছেন না। আমি দু:খিত, আমি আপনার কাছ থেকে চোখের চিকিৎসাটি নিতে পারছিনা"।

গ্লোকোমার চিকিৎসা আবিষ্কার হয়েছে এইতো মাত্র কয়েক বছর আগে।

লেখক:

ডা. সাঈদ এনাম
সহকারি অধ্যাপক, মনোরোগ বিভাগ
সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।