হাঁপানি উপশমে শিশুকেও ইনহেলার দিতে হবে: ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা

হাঁপানি উপশমে শিশুকেও ইনহেলার দিতে হবে: ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা

অ্যাজমা
অ্যাজমা থেকে উপশমে অবশ্যই ইনহেলার প্রয়োগ করতে হবে (ইনসেটে শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা) - ফাইল ছবি

হাঁপানি হল শ্বাসনালির প্রদাহজনিত রোগ। এর অন্যতম প্রধান লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। হাঁপানি রোগীদের যেকোন সময় শ্বাসকষ্ট হতে পারে। শ্বাসনালি ফুলে সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। এ কারণে ফুসফুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না। তখন শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। হাঁপানি রোগ উপশমে ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ডক্টর টিভির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে শিশুকে সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দেন শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা। 

তিনি বলেন, শ্বাসকষ্ট থেকে রক্ষা পেতেই রোগীদের ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। এক্ষেত্রে ইনহেলারের পাফ এমনভাবে নিতে হবে- যাতে ভেতরে থাকা ওষুধ সহজে ফুসফুসে পৌঁছায়। 

অনেকেই বাচ্চাকে ইনহেলার দিতে ভয় পান। এটা ঠিক নয়। তারা খাওয়ার ওষুধ বা ইনজেকশন আছে কি-না জানতে চান। অথচ, খাওয়ার ওষুধ বা ইনজেকশন প্রয়োগ করলে সরাসরি তা শ্বাসনালি বা ফুসফুসে যায় না। যা ইনহেলারের পাফ প্রয়োগের মাধ্যমে সহজেই করা সম্ভব। 

বাচ্চাকে ইনহেলারের মাধ্যমে ওষুধ প্রয়োগ সহজ করতে বাজারে বিশেষ ধরনের মাস্ক পাওয়া যায়। প্রয়োজনে ওইসব মাস্ক কিনে হলে ইনহেলার দিতে হবে। 

বাচ্চার মুখে ইনহেলার লাগিয়ে পাফ করতে হবে। যতটা সম্ভব গভীরভাবে শ্বাস নিতে সহায়তা করতে হবে। ৫-১০ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস ধরে রেখে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবে। 

তাঁরমতে, ইনহেলার ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি সরাসরি শ্বাসনালিতে ওষুধ পৌঁছে দেয় ও রোগীদের তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেয়। অ্যাজমা আক্রান্ত শিশুর স্বজনদের সব সময় ইনহেলার সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেন এই শিশু বিশেষজ্ঞ।