বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অভিজ্ঞতা 

বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অভিজ্ঞতা 

অভিজ্ঞতা
বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার অভিজ্ঞতাটি শেয়ার করেছেন খুজেস্তা নূর-ই নাহারিন - সংগৃহীত

মুম্বাইয়ের রিলায়েন্স হাসপাতালের বিখ্যাত অঙ্কোলজিস্ট সিবন্তি লিমায়ের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়াই দুষ্কর। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত মুন্না ভাই খ্যাত সঞ্জয় দত্তের চিকিৎসক হওয়ায় অনেকে তাকে সেলিব্রিটি ডাক্তার আখ্যা দিয়েছেন। এই ডাক্তার আমেরিকার বিখ্যাত ক্যান্সার হাসপাতাল স্ল্যোঅ্যানকেটারিং এর ডাক্তার হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন।

ডাক্তারের মেধা প্রজ্ঞা চেহারা সবকিছুই এক কথায় তুলনাহীন। এতো বড় মাপের ব্যস্ত ডাক্তারকে সহায়তা করার জন্য সঙ্গে আরও কয়েকজন ডাক্তার এবং সেক্রেটারি সহ মোট ৪ জন। তিনি রোগীর সাথে কথা বলেন আর পাশে বসে অপর আরেক ডাক্তার প্রেসক্রিপশন লিখেন। শেষে কম্পিউটারে কম্পোজ করে ডাক্তারের সিগনেচার সহ রোগীর হাতে দেওয়া হয়।

যতবারই তার সাথে দেখা করতে চাইবেন এপয়েন্টমেন্ট লাগবে সঙ্গে ৮ হাজার রুপী ভিজিট।

ডাক্তারের সাথে কথা বলার পর এক রাশ মুগ্ধতা সহ আমি বেজায় খুশী। কিন্তু সমস্যা হল হরমোন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় । তিনি লিখেছেন প্রতিদিন 10 mg খেতে কিন্তু ওই ওষুধ 2.5 mg এর উপর পাওয়া যায় না। অতঃপর একসাথে চারটি ওষুধ খেতে থাকি।

ভাগ্য ভালো একজন ফার্মাসিস্ট আমায় জানান এই ওষুধের ডোজ কিছুতেই 10 mg হতে পারে না, যত বড় ডাক্তারই হন নিঃসন্দেহে তিনি মিস্টেক করেছেন।

পরদিন অন্য আরেক অঙ্কো সার্জন একই কথা বলেন। ডাঃ সেমন্তির সেক্রেটারিকে জানালে তিনি বলেন ''তাদের ভুল হয়েছে ।'' কিন্তু আমি যদি প্রতিদিন একসাথে চার ওষুধ খেতে থাকতাম তখন এই অনাকাক্ষিত ভুলের মাশুলে কতোটা ক্ষতি গুনতে হত ?

প্রেসক্রিপশনটাতে লেখা নেই ঠিক কতদিন ওষুধ টি খেতে হবে। আমার সাথে থাকা ডাক্তার ভাই বার বার বলে বলে ঠিক করিয়ে নিয়েছেন সব । কিন্তু সবার সাথে তো এমন ডাক্তার ভাই থাকবে না তখন কি হবে !

এতো বড় ডাক্তার এতোটা বে খেয়াল হলে কেমনে কি !

এইজন্যই বিদেশে ট্রিটমেন্টে অনীহা ছিল। কারণ আগের এমন তিক্ত অভিজ্ঞতাও আছে আমার।

অনেকে বলেন ব্যাংকক, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথের চিকিৎসা অনেক কমার্শিয়াল কিন্তু কোন দেশেরটা না?

বিদেশে চিকিৎসা করালেও দেশে নিয়মিত ভালো একজন ডাক্তারের পরামর্শে থাকুন।

 

লেখিকা : 

খুজেস্তা নূর-ই নাহারিন

ম্যানেজিং ডিরেক্টর, মডার্ন সিকিউরিটিস লিমিটেড।