৩৫ বছরের পর গর্ভধারণে ঝুঁকি ও করণীয়

ডা. দীনা লায়লা হোসেন

স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

৩৫ বছরের পর গর্ভধারণে ঝুঁকি ও করণীয়

নারী স্বাস্থ্য
৩৫ বছরের পর গর্ভধারণে ঝুঁকি ও করণীয় - ছবি- সংগৃহীত

বিয়ের পর প্রত্যেকের স্বপ্ন থাকে কোলজুড়ে আসবে নতুন অতিথি। কেউ বিয়ের পরেই সন্তান নিয়ে নেন। আবার অনেকে দেরিতে সন্তান নেন। আবার কেউবা বিয়ে করেন দেরিতে।

কিন্তু আবহাওয়া, জলবায়ু ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে আমাদের দেশে ৩৫ বছর বয়সের পর মা হওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ছে। বেশি বয়সে মা হলে কিছু বাড়তি জটিলতার সৃষ্টি হয়।

সাধারণত বাচ্চা নেওয়ার সঠিক বয়স হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এ সময় পর্যন্ত ঝুঁকিহীন হয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া যায়। এর পর বয়স যত বাড়তে থাকে, তত বেশি শরীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলে দেখা যায় সন্তান আর হতে চায় না।

৩৫ বছরের পরে কেউ বাচ্চা নিলে, সাধারণত তাদেরকে বলা হয় ইল্ডারলি মাদার। ৩৫ বছর পরে বাচ্চা নিলে মায়ের ও বাচ্চার কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মায়ের সমস্যা গুলোর মধ্যে- মায়ের ডায়াবেটিস হতে পারে; উচ্চ-রক্তচাপ হতে পারে; এমন কি মায়ের এবরশন (গর্ভপাত) হওয়ার চান্স থাকে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সাধারণত ডাউন সিনড্রম বাচ্চা হতে পারে।

এখন কথা হচ্ছে, আপনার বয়স যদি ৩৫ বছর হয়ে যায়, আর প্রেগন্যান্সি হয় এবং সমস্যা যদি ধরা পড়ে, তাহলে প্রতিবছর ডায়াগনোসিস করাতে হবে। তাহলে প্রতিকার মিলবে। নিয়মিত এন্টিনেটাল চেকআপগুলো রুটিন মাফিক করাতে হবে।

এছাড়াও বাচ্চার কিছু পরীক্ষা করা হয় ১১ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে। আবার ২২ সপ্তাহের মধ্যে করা হয়। এসময় চিকিৎসকের ফলোআপে থেকে পরামর্শ নিতে হবে।


আরও দেখুন: