চট্টগ্রামে সেমিনার

দেশে ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক

চট্টগ্রামে সেমিনার

দেশে ওভারিয়ান ক্যান্সারে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক

চিকিৎসক
এ ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ নেই বললেই চলে। তারপরও ক্ষুধামন্দা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয় - ছবি: সংগৃহীত

নারীর প্রজননতন্ত্রের ক্যান্সারগুরোর মধ্যে অন্যতম জরায়ুমুখ ক্যান্সারের পরেই ওভারিয়ান ক্যান্সারের অবস্থান। বাংলাদেশে এই ক্যান্সারে আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক। সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীরা এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নারী জিনগত কারণে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের সংগঠন অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) চট্টগ্রাম শাখা আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাব অডিটোরিয়ামে ওভারিয়ান ক্যান্সার বিষয়ক এই বৈজ্ঞানিক সেমিনার হয়। বক্তারা বলেন, বিচ্ছিন্ন যেকোনো কারণেও ওভারিয়ান ক্যান্সারে নারী আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নারীরা সাধারণত যে ধরনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তার মধ্যে একটি ওভারিয়ান বা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার। এই ক্যান্সার ডিম্বাশয়কে সংক্রমিত করে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত পেলভিক জোনে (শ্রোণি এলাকা) ও পেটে না ছড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত বুঝা যায় না। এই ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ একেবারে নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যথা হয় না। তারপরও যে লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয় তার একটি হলো- ক্ষুধামন্দা।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের প্রখ্যাত গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রোকেয়া বেগম ও ঢাকার অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন। সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন কলকাতার ‘আমরি’ হাসপাতালের গাইনোকলজিক্যাল অনকোলজিস্ট ডা. রাহুল রায় চৌধুরী।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাহমিদা রশীদ স্বাতির সঞ্চালনায় ওভারিয়ান ক্যান্সারের চিকিৎসা, অপারেশন ও ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে নবউদ্ভাবিত পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন ওজিএসবি চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা রুনা, চমেকের অধ্যক্ষ ও গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাহেনা আকতার, ওজিএসবি’র জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. শর্মিলা বড়ুয়া, প্রাক্তণ সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন মোরশেদ, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শামীমা সিদ্দিকা, অধ্যাপক ডা. নাসরিন বানু ও ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরী। সেমিনারে চট্টগ্রামের সব পর্যায়ের স্ত্রী রোগ চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন।