জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আইইউডি নেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয়

ডা. নফিছা খাতুন (নফছি)

জুনিয়র কনসালটেন্ট (অবস অ্যান্ড গাইনি), শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়া

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আইইউডি নেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয়

জন্মনিয়ন্ত্রণ
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আইইউডি নেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় - ফাইল ছবি

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আইইউডি বা Intra-uterine device দেওয়ার আগে তার একটি শর্ট হিস্ট্রি নিয়ে নিতে হবে। বিশেষ করে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বা অনেক বেশি সাদাস্রাব বা জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে কি-না, জরায়ুমুখে কোনো পলিপ বা জরায়ুর ক্যান্সার আছে কি-না দেখে নিতে হবে। এছাড়া তার সিস্টেমিক ডিজিজ, যেমন- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ-রক্তচাপ এসব আছে কি-না দেখে নিতে হবে।

আইইউডি দেওয়ার সময় কাউন্সেলিং যাতে পজিটিভলি হয়। যাদের দুইটি বা তিনটি বাচ্চা আছে, তারা চাচ্ছে না অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ। তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

এই পদ্ধতিটার সুবিধা হচ্ছে— তাকে এক্সট্রা কোনো টেনশন করতে হচ্ছে না। দশ বছর মধ্যে যেকোনো সময় সে চাইলে খুলে নিতে পারে।

এই পদ্ধতির অসুবিধা নেই বললেই চলে। তবে, কিছু প্রবলেম হতে পারে। সেটাও তাকে কাউন্সেলিং করে নিতে হবে। তার একটু স্পটিংয়ের মতো হতে পারে, পেটে হালকা ব্যথা হলে, এক্সেসিভ ডিসচার্জ হলে বা ব্লিডিং অনিয়ন্ত্রিত হলে, পিআইডি হলে- এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে বা যেখান থেকে আইইউডি পরে নেবে সেখানে যোগাযোগ করবে।

আর এই পদ্ধতিতে আরও সুবিধা হচ্ছে— এটা ডেলিভারির সময় বিশেষ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিয়ে দিতে পারছি। যদি এই সময় দেওয়া সম্ভব না হয় পরবর্তীতে তার ৪০ দিন পার করে বা ৪ সপ্তাহ পার করে দেওয়া যায়। সিজারের সময় দেওয়া আরও সহজ।

যেন নারী এটা নিতে আগ্রহী হয় এবং এটার খুব বেশি অসুবিধা নাই বললেই চলে। সব পদ্ধতির মতো এরও কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে যাদের জটিলতা দেখা দেবে, তারা অবশ্যই কাউন্সিলিং করতে ডাক্তারের কাছে ফলোআপে যেতে হবে। তার জেনারেল ফিজিক্যাল এক্সিমিনেশনের সাথে সাথে অবশ্যই পার্মানেন্ট এক্সিমিনেশনটা করে দিতে হবে। তার কোনো ইনফেকশন সোর্স আছে কি- না।

আর সঙ্গে যদি দরকার হয় আমাদের প্যাপস্মিয়ার বা ভায়া টেস্ট এসব করেও তাকে ফলোআপ করতে হবে। এক্ষেত্রে তাকে একটি আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে দেখে নিতে হবে, কোনো সমস্যা আছে কি-না।



ইভেন্ট স্ট্রিম : নারী স্বাস্থ্য নিয়ে লেখাসমূহ