ওজিএসবির লক্ষ্য প্রসূতিমৃত্যু লাখে ৭০ জনে আনা

ওজিএসবির লক্ষ্য প্রসূতিমৃত্যু লাখে ৭০ জনে আনা

ওজিএসবি
এখনও আমাদের ৫০ শতাংশ প্রসূতির প্রসব বাসাতে করা হয় - ছবি: ডক্টর টিভি

অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রসূতিমৃত্যু লাখে ৭০ জন আনার লক্ষ্যে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম। 

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

ওজিএসবির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশে লাখে ১৬৩ প্রসূতির মৃত্যু হচ্ছে। এ থেকে কমিয়ে ৭০ আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ওজিএসবি এবং সেটি পূরণে কাজ করবে।

অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম বলেন, প্রসূতিমৃত্যু কমানোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো তাকে হাসপাতালে আনা। কিন্তু এখনও আমাদের ৫০ শতাংশ প্রসূতির প্রসব বাসাতে করা হয়।

তিনি বলেন, গর্ভাবস্থায় প্রসূতিকে অন্তত আটবার চেকআপ করানো উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ প্রসূতিকে চিকিৎসক দেখাচ্ছেন এবং তারা মাত্র চারবার চেকআপ করাচ্ছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রওশন আরা বলেন, প্রসূতিমৃত্যুর প্রধান কারণ রক্তক্ষরণ। আবার দক্ষ মিডওয়াফ সংকট রয়েছে। এসব সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ওজিএসবির মহাসচিব অধ্যাপক গুলশান আরা ছাড়াও অধ্যাপক পারভিন ফাতেমা, অধ্যাপক সামিনা চৌধুরী, অধ্যাপক কোহিনুর বেগম, অধ্যাপক সেহেরিন ফরহাদ সিদ্দিকা, অধ্যাপক সালেহা বেগম চৌধুরী, অধ্যাপক ফারহানা দেওয়ান, অধ্যাপক এস কে জিন্নাত আরা নাসরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘বাংলাদেশের নারী স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা, বিগত ৫০ বছরে নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নে ওজিএসবি এবং মিডিয়ার ভূমিকা, ২০৩০ সালের পরিবার পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুহীন একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় ওজিএসবির করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা নারী স্বাস্থ্য উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতাগুলো কীভাবে দূর করা যায় এবং নারী স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নয়নে ওজিএসবি কি ভূমিকা রাখতে পারে, তার বিশদ তুলে :রেন।

এ ছাড়া নারী স্বাস্থ্য উন্নয়ন, প্রসব সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিলতায় করণীয় এবং উদীয়মান চিকিৎসকদের পড়াশোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন সংযোজন বাংলাদেশের প্রথম ইউটিউব চ্যানেল ‘ওজিএসবি স্বাস্থ্যশিক্ষা’ উদ্বোধন করা হয়।

অলাভজনক সংগঠন ওজিএসবি ১৯৭২ সালে নারী স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গঠন করা হয়। এরপর থেকে নারীশিক্ষা, সেবা, শারীরিক, মানসিক সুস্বাস্থ্য, নারীর প্রতি সামাজিক দায়িত্ব অর্থাৎ মেয়েদের সকল প্রকার সেবামূলক কাজ করে আসছে। বর্তমানে সারাদেশে সংগঠনের ১৮টি শাখা আছে এবং এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ২ হাজার ৬০০।



ইভেন্ট স্ট্রিম : নারী স্বাস্থ্য নিয়ে লেখাসমূহ