আয়রনম্যান মালয়েশিয়ায় সফল ডা. সাকলায়েন

আয়রনম্যান মালয়েশিয়ায় সফল ডা. সাকলায়েন

চিকিৎসক
ডা. রাসেল ৭ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেন - ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার লংকাউইতে শনিবার (৫ নভেম্বর) আয়রনম্যানের দুটি প্রতিযোগিতা হয়েছে। একটি পূর্ণ দূরত্বের, অপরটি অর্ধদূরত্বের (৭০ দশমিক ৩ কিলোমিটার)। দুটি আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় ১১ বাংলাদেশি ক্রীড়াবিদ (ট্রায়াথলেট) অংশ নিয়েছেন। ১১ জনের সবাই আয়রনম্যান চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেছেন।

তাদের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক হিসেবে অর্ধদূরত্ব সম্পন্ন করেন সাকলায়েন রাসেল। প্রতিযোগিতার এ ইভেন্টে ৪৯৭ জন অংশ নেন। ডা. রাসেল ৭ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেন। এখানে সেরা সাফল্য ইশতিয়াক উদ্দিনের, ৬ ঘণ্টা ৩২ মিনিট ৮ সেকেন্ডে চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করে তিনি ২৭২তম স্থান অর্জন করেন। এ প্রতিযোগিতায় বাকি অর্ণব বিশ্বাসের লেগেছে ৭ ঘণ্ট ৪৫ মিনিট ৫৫ সেকেন্ড।

সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড়ের সমন্বয়ে যে খেলা, সেটির নাম ট্রায়াথলন। পৃথিবীতে ট্রায়াথলনের সবচেয়ে কঠিন প্রতিযোগিতা হলো আয়রনম্যান। ট্রায়াথলেট বা ট্রায়াথলন ক্রীড়াবিদের জন্য কঠিনতম প্রতিযোগিতা আয়রনম্যান। দূরত্বের হিসাবে কয়েকটি সংস্করণে আয়রনম্যান প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে পৃথিবীর কয়েকটি দেশে।

সাঁতার, সাইক্লিং ও দৌড়—তিনটি বিষয়ে অর্ধেক দূরত্ব পেরোনোর চ্যালেঞ্জ থাকে আয়রনম্যান ৭০.৩ ইভেন্টে। শনিবার বিকেলে নিজের ফেসুবকে দেওয়া পোস্টে ডা. রাসেল তার এ সাফল্যের কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হ্যালো বাংলাদেশ, মালয়েশিয়ায় ‘আয়রনম্যান ৭০.৩ লংকাউই’ প্রতিযোগিতা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। এখানে আপনাদের প্রথম আয়রন চিকিৎসক।’

সমুদ্র সাঁতার দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরে সাইকেল ও সর্বশেষ দৌড়ের মাধ্যমে শেষ হয় এ প্রতিযোগিতা। এবারই প্রথম দুটি প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১১ জন অপেশাদার ক্রীড়াবিদ (ট্রায়াথলেট) অংশ নেন। এর মধ্যে বাংলাদেশে বসবাসকারী আমেরিকান নারীও ছিলেন। এতে অংশ নেন বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রায় তিন হাজার প্রতিযোগী।

আর পূর্ণাঙ্গ আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের জন্য থাকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮০ কিলোমিটার সাইক্লিং এবং ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করার চ্যালেঞ্জ। আয়রনম্যান মালয়েশিয়া প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান আরাফাত ৪২৭ ট্রায়াথলেটের মধ্যে ১১তম স্থান অর্জন করেছেন। নিজের বয়স গ্রুপে (৩০–৩৪ বছর) তার অবস্থান দ্বিতীয়। ফলে আয়রনম্যানের সর্বোচ্চ আসর আয়রনম্যান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল তার।

প্রতিযোগিতায় আরাফাত ১০ ঘণ্টা ৩১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে ৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮০ কিলোমিটার সাইক্লিং এবং ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করেন। তার সঙ্গে আয়রনম্যান চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেন বাংলাদেশের আরিফুর রহমান (১১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ১১ সেকেন্ড), তার অবস্থান ৪৬তম। ১৩ ঘণ্টা ১৯ মিনিট ১৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১৫১তম স্থানে আছেন মিশু বিশ্বাস। পবিত্র কুমার দাশ শেষ করেন ১৩ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে (১৯৯তম স্থান)। শুভ দে আছেন ২০৫তম স্থানে (১৩ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড)। ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়স গ্রুপের ইমতিয়াজ ইলাহীর সময় লেগেছে ১৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট ১৮ সেকেন্ড। মুনতাসীর সামি ১৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট ৪১ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রতিযোগিতা শেষ করেন। সুলতান মাহমুদের সময় লেগেছে ১৪ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট ১২ সেকেন্ড।