স্বাস্থ্যখাতে আসছে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প

স্বাস্থ্যখাতে আসছে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প

আগামী অর্থবছরের বাজেটে এডিপির আকার কিছুটা কমিয়ে ধরা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগামী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপির) আকার দুই লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন করেছে। নতুন এডিপিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য খাতে আসতে পারে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প।  

 

এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে প্রায় সব দেশে চলছে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিও এর ব্যতিক্রম নয়। আবার করোনার কারণে সরকারের পরিচালন বা অনুন্নয়ন ব্যয় বেড়েছে অনেক গুণ। ফলে আগামী অর্থবছরের বাজেটে এডিপির আকার কিছুটা কমিয়ে ধরা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগামী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপির) আকার দুই লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন করেছে। নতুন এডিপিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন ও কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য খাতে আসতে পারে একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প।  

 

এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী এডিপি নিয়ে আমাদের অনেক পরিকল্পনা আছে। করোনার জন্য নতুন করে অনেক কিছু করতে হচ্ছে। নতুন বাজেটের এডিপিতে স্বাস্থ্যখাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মানুষ যাতে ভালো থাকে আমরা সে ব্যবস্থা করতে চাই। গ্রামীণ অবকাঠামো নিয়ে কাজ করতে চাই। শিক্ষা এবং কৃষিও গুরুত্ব পাবে আগামী এডিপিতে।’

 

সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে এবারের নতুন এডিপিতে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ বাড়ানো হবে। ৯টি অগ্রাধিকার খাতের মধ্যে শীর্ষস্থানে থাকবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা খাত। সরকার মনে করে, চলতি বাজেট ঘোষণার সময় ছিল করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের অচলাবস্থা। এরপর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তা ধরে রাখা যায়নি। বিশ্বজুড়ে আবারও শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। প্রাণহানির পাশাপাশি করোনার এই সময়ে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে কর্মসংস্থান। বেড়েছে বেকারত্ব। দ্বিগুণ হারে বেড়েছে দারিদ্র্য। ফলে আসছে নতুন বাজেটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কর্মসংস্থানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।