- অধ্যাপক ডা. শামীম ফাতেমা নারগিস
- ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৪১
টুইন প্রেগনেন্সি: একজনের জটিলতা অন্যজনে কী প্রভাব ফেলে
টুইন প্রেগনেন্সি: একজনের জটিলতা অন্যজনে কী প্রভাব ফেলে
পরীক্ষার পর যমজ শিশুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর মা ও পরিবারের সবাইকে সতর্ক হতে হবে। মাকে বেশি পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। টুইন প্রেগনেন্সিতে যদি শেষ সময়ে একটি সন্তান মারা যায় অথবা জটিলতা দেখা দেয়, তাহলে জীবিত সন্তান ও মায়ের কিছু কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের কিডনি সমস্যা, অনেক সময় নিউরোলজিক্যাল কিছু সমস্যা হতে পারে।
তবে এটি নির্ভর করে কোন সপ্তাহে শিশুটি মারা গেছে। যদি দেখা যায়, গর্ভধারণের ৩০-৩২ সপ্তাহের সময় একটি বাচ্চা মারা গেছে, তখন আমরা প্রেগনেন্সিকে ৩৪ সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত রাখি। ৩৪-৩৬ সপ্তাহে জীবিত সন্তান ডেলিভারির চেষ্টা করি। তবে এক্ষেত্রে মৃত শিশু থেকে কিছু কিছু জিনিস বের হয়, যা জীবিত সন্তানের ক্ষতি করে। কিডনি, ব্রেনে ক্ষতি হতে পারে।
মায়ের ক্ষেত্রেও কিছু কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, প্রসবের পর রক্ত জমাট বাঁধতে ব্যাঘাত ঘটে। এসব মায়েদের পিপিএসের সুবিধা মানে প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণের সমস্যা ডেভেলপ করতে পারে। এ রকম হলে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ও নিয়মিত চেকআপে থাকবেন। তার রক্ত কোয়াটিং ফ্যাক্টরটা কি অবস্থায় আছে, এগুলো আমাদের সব সময় দেখতে হবে এবং সবকিছু দেখে নিয়ে সেভাবে আমাদের ডিসিশন নিতে হবে।
চাকরিজীবী টুইন প্রেগনেন্সি মায়েদের ব্যাপারে ২৪ সপ্তাহ বা ছয় মাস হলে চাকরি থেকে বিশ্রামে চলে আসা উচিত। চাকরি থেকে বিরতি নেয়া উচিত। টুইন প্রেগনেন্সিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে আগে আগে ব্যথা উঠে এটা ২৪ সপ্তাহের পরে হয় তাই ২৪ সপ্তাহের পরে ছুটি নিয়ে নেওয়া উচিত।
ছুটির ব্যাপারে সব মায়েরা আসে ডেলিভারির ৫/৭ দিন। আসলে সম্ভাব্য প্রসব তারিখের ১ থেকে ২ মাস আগে ছুটি নেওয়া ভালো। কারণ একটা ভালো সন্তান আপনার হাতে এলে তাকে লালন-পালন করতেও কিন্তু আপনার অনেক সুবিধা হবে। সে শিশুর আউটকাম ভালো হবে।
লেখক: অধ্যাপক ডা. শামীম ফাতেমা নারগিস
সাবেক অধ্যাপক, গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল (মিটফোর্ড) কলেজ
ইভেন্ট স্ট্রিম : হার্টের সমস্যা ও সমাধান নিয়ে লেখাসমূহ
-
০৩ এপ্রিল, ২০২৪
-
২৯ নভেম্বর, ২০২১
-
২৩ নভেম্বর, ২০২১
-
২১ নভেম্বর, ২০২১
-
১৭ অক্টোবর, ২০২১
-
১৪ অক্টোবর, ২০২১