অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ ও করণীয়

ডা. দীনা লায়লা হোসেন

স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণ ও করণীয়

অনিয়মিত পিরিয়ড
অনিয়মিত পিরিয়ড - ছবি- সংগৃহীত

পিরিয়ড নারীদের কাছে একটি পরিচিত বিষয়। প্রত্যেক নারীর সাধারণত মাসে একবার পিরিয়ড হয়ে থাকে। পিরিয়ড নিয়মিত হওয়া ভালো। তবে অনেক সময় অনেকর নিয়মিত পিরিয়ড হয় না। চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেলে হয়। আবার ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিলে পিরিয়ডও বন্ধ হয়ে যায়।

বিশেষ করে কিশোরীদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। এ নিয়ে কিশোরীরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন।

সাধারণত নিয়মিত মাসিক হওয়া বা না হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন- হরমোনাল সমস্যার জন্য হতে পারে। হাইপোথাইরয়েডের জন্য হতে পারে। অতিরিক্ত মোটা হয়ে গেলে হতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে।

তবে অনিয়মিত মাসিক আন্ডারওয়েটের জন্য কিনা সেটা আমাদের জানতে হবে। এর জন্য অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। যদি সঠিক কারণ পাওয়া যায়, ঠিকমতো চিকিৎসা নেওয়া যায়, শতভাগ ঠিক হয়ে যাবে।

পাশাপাশি হেলদি লাইফস্টাইল ঠিক করতে হবে। কারণ, নিয়মিত মাসিক হতে তা নিয়ন্ত্রণ করে। সবসময় উচ্চতার সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক সময় মাসিক বন্ধ হয়ে যায়।

শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে ইউরেটরে ইনফেকশন সৃষ্টি হয়। এত করে মাসিক হতে বিলম্ব করে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

নিয়মিত সুষম ও প্রোটিনজাতীয় খাবার খান। তাজা মাছ-মাংস, সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল নিয়মিত খান। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট এগুলোর মধ্যে ব্যালেন্স করতে হবে। কারণ শরীরে রক্তশূন্যতা বা ক্যালসিয়ামের অভাব হলে মাসিক হতে দেরি হয়।

সবসময় ফাস্টফুড অ্যাভয়েড করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করতে হবে। তাহলেই মাসিকটা অনেকখানি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।



ইভেন্ট স্ট্রিম : নারী স্বাস্থ্য নিয়ে লেখাসমূহ