দেশে বাড়ল ডায়াবেটিস পরিমাপের খরচ

দেশে বাড়ল ডায়াবেটিস পরিমাপের খরচ

ডায়াবেটিস
দেড় থেকে দুই মাস আগে ৫০টি স্ট্রিপের কৌটার দাম ছিল ৭৮০ টাকা। সংকটে দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায় - ফাইল ছবি

দেশে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয়ের খরচ বাড়ল। কারণ রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয়ে গ্লুকোমিটারে ব্যবহৃত স্ট্রিপের দাম গত দেড়-দুই মাসের ব্যবধানে দেশে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ বেড়েছে।

যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে স্ট্রিপের দাম অনেক কমেছে। আমদানিকারকদের দাবি, ডলারের ঊর্ধ্বগতি, এলসি সমস্যা ও ঔষধ প্রশাসনের খবরদারির কারণে বাজারে স্ট্রিপের সংকট তৈরি হওয়ায় দাম বেড়েছে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ। টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগী প্রায় ২৫ হাজার।

ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় করা জরুরি। কমপক্ষে ৫০ লাখ রোগী নিয়মিত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরীক্ষা করে। অনেকেই বাসায়, মহল্লার ওষুধের দোকানে এ পরীক্ষা করে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগে প্রতিটি ডায়াবেটিস পরীক্ষা ২০ টাকায় করানো যেত। কিন্তু স্ট্রিপের দাম বাড়ায় এটি ৩০ টাকা করতে বাধ্য হয়েছেন। দেড় থেকে দুই মাস আগে ৫০টি স্ট্রিপের কৌটার দাম ছিল ৭৮০ টাকা। সংকটে দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়। আর ২৫টি স্ট্রিপের কৌটার দাম ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২৫ টাকা। অর্থাৎ স্ট্রিপের দাম ২১ থেকে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ বেড়েছে।

স্ট্রিপ আমদানিকারক মেসার্স হেলথওয়ের স্বত্বাধিকারী নূর হোসেন বলেন, স্ট্রিপের উৎপাদন বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম অনেক কমেছে। কোনো প্রতিষ্ঠানের অতিরিক্ত ৫০ লাখ স্ট্রিপ উৎপাদনে খরচ বাড়ছে মাত্র ২০ শতাংশ।

আমদানিকারকরা জানায়, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ড্রাগ রেজিস্ট্রেশন বা ডিআর নম্বর ছাড়া স্ট্রিপ আমদানি করা যাচ্ছে না। আমদানির জন্য ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। ১ লাখ স্ট্রিপ আমদানির অনুমতি চাইলে ঔষধ প্রশাসন থেকে কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হচ্ছে। আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ জন্য স্ট্রিপের সংকট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া ডলার সংকট ও উচ্চমূল্যের কারণে ব্যাংক এলসি খুলছে না। সব মিলিয়ে বিষয়টি জটিল হয়ে পড়েছে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ূব হোসেন বলেন, স্ট্রিপের মূল্য তারা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন। কেউ নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।