দ্য ল্যানসেটের প্রতিবেদন

২০৫০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা হবে দ্বিগুণ

দ্য ল্যানসেটের প্রতিবেদন

২০৫০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা হবে দ্বিগুণ

ডায়াবেটিস
রোগ মোকাবিলায় কাঠামোগত বিভেদ ও দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যের কারণে এমন পরিস্থিতি হতে পারে - ফাইল ছবি

২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হতে পারে। অন্তত ১৩০ কোটি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত অবস্থায় থাকতে পারেন।

রোগ মোকাবিলায় কাঠামোগত বিভেদ ও দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্যের কারণে এমন পরিস্থিতি হতে পারে। বিশ্বে প্রতিটি দেশেই ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে।

শুক্রবার (২৩ জুন) চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে আনুমানিক ৫২ কোটি ৯০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। রোগটি মানুষের মৃত্যুর শীর্ষ ১০ কারণের একটি। এ ছাড়া ডায়াবেটিস বহু মানুষের শারীরিক সক্ষমতাও কেড়ে নেয়।

এতে বলা হয়, আক্রান্তের ৯৫ শতাংশই টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। এ সংখ্যা আগামী তিন দশকে বেড়ে ১৩০ কোটি ছাড়াবে। ডায়াবেটিসে যাদের মৃত্যু হচ্ছে, তাদের অর্ধেকেরই ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বা তারা স্থূলতায় আক্রান্ত। অন্য কারণগুলোর মধ্যে আছে– খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা, ধূমপান ও মদ্যপান।

এ গবেষণার অন্যতম সদস্য ওয়াশিংটনভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের প্রধান বিজ্ঞানী লিয়ান অং বলেন, বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্যাভ্যাস (হয়তো তারা বেশি বেশি ফল ও সবজি খেতেন) গত তিন দশকে অনেকটাই বদলেছে। লোকজন বেশি বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবারে অভ্যস্ত হয়েছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৪৫ সালের মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের তিন-চতুর্থাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবেন।

দ্য ল্যানসেটের অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশেও সংখ্যালঘু তথা কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক, এশীয়দের মধ্যে ডায়াবেটিসের হার দেড় গুণ বেশি। এ জন্য মেডিকেল কলেজ অব উইসকনসিনের গবেষকরা ‘ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিস বৈষম্য’কে দায়ী করেন। বর্ণবাদী নীতির কারণে একটি বিশেষ শ্রেণির মানুষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত বলেও মত দেন তারা।



ইভেন্ট স্ট্রিম : ডায়াবেটিস