বিব্রতকর ব্রণ, বারবার হলে করণীয়

অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন গালিব

বিভাগীয় প্রধান, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, ঢাকা

বিব্রতকর ব্রণ, বারবার হলে করণীয়

টিকা
সাধারণত স্বাভাবিক ওষুধে ব্রণ ভালো হয়ে যায় - ছবি: সংগৃহীত

ব্রণ বারবার হয় সাধারণত টিনএজে। অনেক সময় পরেও ব্রণ দেখা দেয়। যেগুলোকে আমরা বিলম্বিত ব্রণ বলে থাকি। এমনও দেখা যায়, ৪০ পেরিয়ে ব্রণ হচ্ছে এবং সহজে ভালো হচ্ছে না।

এমন ক্ষেত্রে চিকিৎসার আগে আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। নারীদের ক্ষেত্রে ব্রণের সাথে হার্সটিজম ও ফেসিয়াল রেয়াল গ্রোথ হয়। ওজন বেশির মতো বেশ কিছু কারণেও ব্রণ ভালো হয় না।

আমরা আল্ট্রাসনো স্ক্যান করে দেখি, কোনো ধরনের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ আছে কি না? কারণ নারীদের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ থাকলে ব্রণ ছাড়াও আনুষঙ্গিক কিছু সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য হার্সটিজম, ব্লাড সুগার আইজিটি, ডায়াবেটিসের মাঝামাঝি ধাপ ইম্পেয়ার গ্লুকোজ টলারেন্সগুলো পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। স্বাভাবিক ওষুধে ব্রণ ভালো হয়ে যায়। কিছু কিছু ব্রণ স্বাভাবিক ওষুধে ভালো না হলেই কেবল এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

ব্রণ দূরে লেজার ট্রিটমেন্ট
ব্রণ দূরে লেজার ট্রিটমেন্ট খুব কার্যকরি। কিন্তু আমাদের কাছে তো অনেক ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। সেগুলো কাজে না এলে চূড়ান্ত ধাপে লেজার ট্রিটমেন্ট করে থাকি। লেজার দিয়ে আমরা যে জিনিস কিল করতে পারি, তা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েও সম্ভব। ত্বকের উপরিভাগ লেজার ব্যবহার করে কোমল করা হয়।

তারপর কেরাটিনাস প্রাগগুলো সাকশান দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। তবে এ চিকিৎসা নির্ভর করে ত্বকের ধরন ও মান, রোগীর বয়স ও তার কর্মের ধরনের ওপর। তবে লেজার ট্রিটমেন্টের জন্য রোগীকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়।